SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

প্রাথমিক তথ্য

ফসল উৎপাদনে ভালমানের বীজ ব্যবহার করা হলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। বীজ ভাল কিনা তা অঙ্করের হার হার দেখে বোঝা যায়। বীজ গজানোর হার পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ 

১। মাটির পাত্র, ২। কলার খালে, ৩। ভিজা চট, ৪। নারকেলের মালা, ৫। পেট্রিডিস, ৬। কাঁচি, ৭। পানি, ৮। বাটারিং পেপার, ৯ । কাঁচি/চাকু ইত্যাদি, ১০। খাতা কলম ।

কাজের ধাপ 

(ক) মাটির পাত্র ও মাটির পাত্রে পরিমাণ মত ধূলা /মাটি দ্বারা ভর্তি করতে হবে। 

(খ) নারিকেলের মালাঃ নারিকেলের মালাতে পরিমাণমত ধূলা /মাটি দ্বারা ভর্তি করতে হবে। ক ও খ উভয়টিতে। পরিমাণমত পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিতে হবে। 

(গ) কলার খোলঃ কলার পাতার বোঁটার দিকটার মোটা অংশে ১ ফিট পরিমাণ টুকরো করে কেটে নিতে হবে। 

(ঘ) ভেজা চটঃ ৩০ বর্গ সেমি. পরিমাণ চট টুকরা করে কেটে নিতে হবে। 

(ঙ) পেট্রিডিস ও পেট্রিডিসের তলায় বটিং পেপার বিছিয়ে নিতে হবে ঘ ও ও উভয়টিতে অর্থাৎ চট ও বটিং পেপার অল্প অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে সম্পূর্ণ ভিজিয়ে নিতে হবে।

কাজের পদ্ধতি 

১. এরপর বীজ লট হতে নমুনা বীজ সংগ্রহ করে সেখান হতে কোনরূপ পক্ষপাতিত্ব না করে দৈবচয়নের মাধ্যমে ১০০ টি বীজ আলাদা করে নিতে হবে। 

২. নমুনা বীজ ১০০ টি মাটির পাত্রে বা নারিকেলের মালায় সারি করে বসাতে হবে। 

৩. তারপর মাটির পাত্র বা নারিকেলের মালা আলোবাতাসযুক্ত ছায়া স্থানে রাখতে হবে। 

৪. মাটির পাত্র বা নারিকেলের মালায় প্রয়োজনে মাঝে মাঝে অল্প পানি দিতে হবে। 

৫. কলার ডাঁটা বা কাণ্ড বা পাতার বোঁটায় মোটা অংশ যা ১ ফিট আকারে নেয়া হয়েছে, তার ১ দিক হতে বাঁশ ফালি করা বা ফাঁড়ার ন্যায় সমান্তরালভাবে দুই পাশ হতে ফাঁড়তে হবে। এতে মাঝখানের অংশ দন্ডের ন্যায় থেকে যাবে। 

৬. কলার ডাঁটার দুইদিক হতে প্রায় ২০ সেমি. ইঞ্চি পরিমাণ করে কাটা ফালি ২টি দুদিকে ভাঁজ করতে হবে, ঠিক যেভাবে কলা ছিলা হয়। 

৭. চটটি বিছিয়ে একপাশে সারি করে ১০০টি বীজ সাজাতে হবে এবং একটা কাঠি চটের মাথায় ধরে আস্তে আস্তে চটটি কাঠির সাথে রোল করে পেচিয়ে নিয়ে ঠান্ডা ও অন্ধাকার স্থানে রেখে দিতে হবে। চট্টটি শুকায়ে গেলে মাঝে মাঝে ভেজায়ে দিতে হবে। 

৮. কলার ডাঁটার ভিতরের দন্ডের খাঁজে খাঁজে ১০০টি বীজ সাজায়ে ফালি করা অংশ ২টি সোজা করে নিলে বীজ ঢেকে যাবে। এখন ডাঁটাটি সুতা/চিকন সুতলি দিয়ে পেঁচায়ে বেঁধে ঠান্ডা ও অন্ধকার স্থানে রেখে দিতে হবে। 

৯. পেট্রিডিসেও বীজ ১০০টি সাজায়ে ডিসের ঢাকনা দেওয়ার আগে পিপেটের সাহায্যে পানি দিয়ে বীজগুলো ভিজিয়ে নিয়ে জানালার কাছে। টেবিলে রেখে দিতে হবে।

(ক) সাধারণত বীজ বসানোর ৩য় দিন হতে অঙ্কুর গণনার কাজ শুরু এবং ৭ম দিনে শেষ করতে হয় । প্রতিদিন বীজ (অঙ্কুরিত) গণনার পর পাত্র হতে সেগুলো ফেলে দিতে হয় এবং তা ছকে লিখে রাখতে হয় ।

(খ) যে বীজের মূল ও কাণ্ড স্পষ্টভাবে গজাতে দেখা যায় সে বীজকেই গজানো বীজ হিসেবে গণ্য করা হয়। এভাবে কমপক্ষে ৩টি পাত্রের (একই জাতীয় অঙ্কুরিত বীজের হিসাব নিয়ে গড় করে শতকরা হারে প্রকাশ করা যায়। উদাহরণ- মাটির পাত্রে বসানো বীজের অঙ্কুর হার নির্ণয় ।

Content added || updated By

আরও দেখুন...